গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রায় রাতেই ঘটছে গরুর মতো চুরির ঘটনা। আর এ জন্য খামারিরা দুঃচিন্তায় রাত কাটান। একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটলেও প্রতিরোধের কোনো প্রদক্ষেপ নেই। আর এতে ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হয়ে খামারিরা প্রতিবাদে নেমেছেন মহাসড়কে।
খামারিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার তাজউদ্দীন চত্বরে এক মানববন্ধনে মিলিত হয়ে এ প্রতিবাদ জানায়।
জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় হঠাৎ বেড়ে গেছে গরু চুরি। সম্প্রতি উপজেলার পাবুর গ্রাম থেকে এক রাতে ৭টি গরু চুরি হয়। এছাড়া চান্দুন গ্রাম থেকে ৬টি, বাঘিয়া গ্রাম থেকে ১২টি, রায়েদ মধ্যপাড়া থেকে ৩টি, হাইলজোর থেকে ২টি, ভাকোয়াদী থেকে ৪টি, কোটবাজালিয়া থেকে ১৩টি গরু চুরি হয়।
খামারিদের অভিযোগ পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। সংঘবদ্ধ চোরের দল বিভিন্ন সময় নতুন কৌশলে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। যা খামারিরা রাত জেগে পাহাড়া দিয়েও কোনোভাবে ঠেকাতে পারছেন না। গরু চুরি প্রতিরোধের দাবিতে শনিবার উপজেলার তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরে মানববন্ধন করেন খামারিরা।
মানববন্ধনে খামারিরা বলেন, গরু চুরি প্রতিরোধে আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি। আতঙ্ক নিয়ে কাটছে আমাদের প্রতিটি রাত। চোর নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। যার ফলে আমারাও বিপাকে পড়ছি। আতঙ্কে অনেকেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছে। গরু চুরি প্রতিরোধ না করা গেলে কৃষক তার সহায় সম্বল হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়বে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, ‘গরু চুরি প্রতিরোধে আমরা পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। আমরা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোড়ে মোড়ে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করে এলাকাবাসীকে সচেতন করছি। যাতে করে আমাদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও রাতে পাহাড়া দেন। এলাকায় এলাকায় গিয়ে খামারিদের সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি’।